কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তাসলিমা আক্তার (৩৫), তার দুই মেয়ে মোহনা (১১) ও বন্যা (৭) নামের চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় মূল হত্যাকারী শনাক্তের দাবি করেছে পুলিশ। তার গায়ে নিহতের আঁচড়ের দাগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
তিনি জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা মুখ খুলতে চায় না। রিমান্ডে নিয়েও কথা বের করা যায়নি। তবে এদের মধ্যে একজনের গায়ে নিহতের আঁচড়ের দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটা তাসলিমা আক্তারের আঁচড়ের দাগ।
পুলিশ সুপার আরো জানান, শনাক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আটক দুজনকে ঢাকায় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে ডিএনএ নমুনা দেয়া হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে নিহতদের কাছ থেকে নেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে ওই দুজনের নমুনার সম্পর্ক যাচাই (ম্যাচিং) করা হচ্ছে। যাকে হত্যাকারী হিসেবে পুলিশি অনুসন্ধানে শনাক্ত করা হয়েছে, তিনি একজন হূদরোগী। তার দেহে দুটি রিং পরানো আছে।
তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থতার ওই সুযোগটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। নাম জিজ্ঞাসা করার সময়ও অজ্ঞান হওয়ার ভান করেন। আবার গাড়িতে তোলার সময়ও অজ্ঞান হওয়ার ভান করেন বলে পুলিশ সুপার জানান। তবে ওই ডিএনএ রিপোর্টেই আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তিনি আশাবাদী।
গত ১৪ নভেম্বর সকালে হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হতভাগ্য সৌদী আরব প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার টিনের ঘরে একটি খাটের ওপর তার স্ত্রী তাসলিমা এবং অপর খাটের ওপর দুই মেয়ে মোহনা ও বন্যার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত তাসলিমার বড়ভাই কবিরুল ইসলাম নয়ন বাদী হয়ে পরদিন হোসেনপুর থানায় তিনজনকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
টিএইচ